মাসিক বিভাস নিয়ে পাঠকের উচ্ছ্বাস

বেশ কিছু দিন আগেই বিভাস নামের পত্রিকাটির নাম শুনি এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক কুড়িগ্রামের গুণী চিন্তার অধিকারি লেখক আব্দুল খালেক ফারুক সাহেবের মুখ থেকে। পত্রিকাটি সম্পর্কে পাঠক হিসাবে আমার কিছু কথা বলতেই হয়। আধুনিক ডিজাইনের সবরকমের ছোয়া ছিল মাত্র ৫ টাকা মূল্যের এই পত্রিকাটি জুড়ে, রঙিন প্রিন্টে ছবি বেশ আকর্ষিত করেছে সকলকে। পুরো পত্রিকায় কুড়িগ্রামের সাফল্য ও ইতিবাচক লেখাগুলো পাঠক হৃদয়ে খুব অল্প সময়ে জায়গা করেও নিয়েছে। পত্রিকা হিসাবে বিভাসের প্রতিটি লেখাই ইতিবাচক ও প্রত্যাশামাফিক তাছাড়াও জেলার সমস্ত প্রতিভাকে উপস্থাপন করার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। অনেকটা চীন দেশের পত্রিকার মতো। যেখানে তরুণদের সাফল্য, উদ্ভাবন নিয়ে বেশি করে ছাপা হয়। হোক সেটা কৃষি কিংবা খেলা নির্ভর। বিভাসের প্রথম পৃষ্ঠায় যদিও রাজনীতির খবরা খবর ছাপা হয়েছে অনেকটা সতর্কতার সাথে। এখানে যেমন নেতিবাচক কিছুই লেখা হয়নি ঠিক তেমনি বাড়তি তথ্যও যোগ করা হয়নি। এজন্য সম্পাদক সাহেবকে ধন্যবাদ না দিয়ে পাড়ছিনা। পাশাপাশি কুড়িগ্রামের আলুর বিদেশে রপ্তানি, নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি, ঐতিহ্য নির্ভর ১২৭ বছরের পুরোনো পায়ে চালিত ছাপা খানা, অনলাইনে বিয়ে নিবন্ধনে কুড়িগ্রামে গণ মানুষের বিপুল সাড়া, সেই সাথে পত্রিকাটির খেলার মাঠের বিশেষ অংশে ক্রীড়াঙ্গনের প্রান্তিক চাষি জালাল হোসেন লাইজুকে নিয়ে ফিচারটি আমাকে গভীরভাবে আকৃষ্ট করে। কুড়িগ্রাম যে কতটা এগিয়ে গেছে, সরকারের ডিজিটাল সেবার প্রয়োগে এখানকার মানুষজন কে কেউ আর সুবিধা বঞ্চিত করতে বা বলতে পারবেনা। আসলেই এসব কিছু একজন উন্নত চিন্তার মানুষের কাছ থেকেই আশা করা যায়। যিনি সব সময় গুণীর কদর করতে জানেন। তিনি হলেন বিভাসের সম্পাদক আব্দুল খালেক ফারুক সাহেব। পেশা জীবনে একজন শিক্ষক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও সংগঠক হিসেবে তার আদর্শিক চিন্তার প্রয়োগে পত্রিকাটি আমার মতো হাজার থেকে লাখো পাঠকের মনে খুব শিগগির জায়গা করে নিবে।
মোঃ রায়হান কবির নোমি নোমান
হরিকেশ, কুড়িগ্রাম

Facebook Comments
Share
  •  
  •  
  •  
  •  
error: Encrypted Content!