কুড়িগ্রামে ১০ টাকার চাল নিতে ভিড় বরাদ্দ কম থাকায় ফিরে যাচ্ছেন অনেকে

আব্দুল খালেক ফারুক:
কুড়িগ্রামে খোলা বাজারে ১০ টাকা কেজির চাল নিতে কর্মহীন দরিদ্র মানুষ ভিড় করছে। সামাজিক দূরত্ব না মেনে ঘন্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে চালের জন্য অপেক্ষা করছে শত শত মানুষ। তবে ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও চাল না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন অনেক কর্মহীন নারী-পুরুষ। চাহিদার তুলনায় ডিলাররা বরাদ্দ কম পাওয়ায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রায় প্রতিটি বিক্রয় কেন্দ্রে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কুড়িগ্রাম শহরের বাসটার্মিনাল এলাকায় ডিলার অসীম কুমার ঘোষের বিক্রয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় কেন্দ্রর পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে নারী ও পুরুষের লম্বা লাইন। সামাজিক দূরত্ব মানতে পুলিশ চেষ্টা করলেও ভিড়ের কারণে সম্ভব হচ্ছেনা। পলাশবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মালেক অভিযোগ করেন, সকাল থেকে তীব্র রোদে লাইনে দাঁড়িয়েও চাল পাচ্ছেন না। সকাল ১১টা েেথকে ৩টা পর্যন্ত চাল বিক্রি করা হলেও ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছেন অনেকে। সড়ক বিভাগের নৈশ প্রহরী মহির উদ্দিন জানান, ভিড়ের কারণে বয়স্ক লোকরা বেশিরক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছেন না। একই এলাকার বাসিন্দা মোসলেম উদ্দিন জানান, তিন দিন চেষ্টা করেও চাল সংগ্রহ করতে পারেননি। ডিলারের প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান চাঁদ জানান, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ অনেক কম। তাই অনেকেই চাল না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। তারা মনে করেন কুড়িগ্রামে দরিদ্রপীড়িত মানুষের সংখ্যা বেশী থাকায় চালের বরাদ্দ বেশী দেয়া দরকার।
খাদ্য বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম শহরে ১০টি, নাগেশ^রীতে ২টি ও উলিপুরে ১টি ওএমএস ( ওপেন মার্কেট সেল) কেন্দ্রে সপ্তাহে তিনদিন চাল বিক্রয় করা হয়। নাগেশ^রীতে ২টি ও উলিপুর পৌর এলাকায় ১টি কেন্দ্রে দৈনিক ১ মে.টন চাল দেয়া হলেও কুড়িগ্রাম পৌর এলাকায় কেন্দ্রপ্রতি ৮০০ কেজি চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ডিলাররা বলছেন, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম পাওয়ায় ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। অপরদিকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় গ্রামাঞ্চলের ২৬৮টি কেন্দ্রে সপ্তাহে তিন দিন কার্ডপ্রতি মাসিক ৩০ কেজি চাল বিক্রি করা হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো: মিজানুর রহমান জানান, তিনটি পৌরসভায় ২৩ বিক্রয়কেন্দ্র চালুর প্রস্তাব দেয়া হলেও খাদ্যবিভাগ ১৩টি কেন্দ্রের অনুমোদন দিয়েছে। সেভাবেই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

Facebook Comments
Share
  •  
  •  
  •  
  •  
error: Encrypted Content!