নৌ পথে ঢুকছে মানুষ আতঙ্ক এখন গ্রামে

বিভাস প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জের মতো লগডাউন এলাকা থেকে নৌপথে গ্রামে ফিরছে গার্মেন্টস ও নির্মাণ শ্রমিকরা। এছাড়া চট্রগ্রাম ও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নানাকৌশলে নিজ নিজ এলাকায় আসছে মানুষ। ভয়ে গ্রাম এলাকায় এখন আতংক বিরাজ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চিলমারী উপজেলার বেশ কয়েকটি নৌকা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ বিভিন্ন ফ্যাক্টরীর এলাকায় অবস্থান করছে। নৌকার মাঝিদের সাথে বিভিন্ন ভাবে চুক্তি করা হচ্ছে কৌশলে তাদের নিয়ে আসার জন্য। এরই মধ্যে অনেকেকে বিভিন্ন চরে চরে নামিয়ে দেয়ারও হয়েছে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন নৌকার মাঝি বলেন, নদীপথে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ এবং মানিকগঞ্জ থেকে ইতিমধ্যে অনেকেই এলাকায় ফিরেছেন।

নৌকার মালিক জাহাঙ্গীর আলম জানান, এলাকার অনেক মানুষ ওখানে কাজের জন্য গিয়েছিল। তারা আটকে পড়েছে। তাদের সাথে কথা হয়েছিল। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিষেধ করায় তা বন্ধ করা হয়েছে।
নয়ারহাট এলাকার বাসিন্দা মাহফুজার জানান, তার এলাকার কয়েকজন নারায়ণগঞ্জ থেকে নৌ-পথে আসবে। তারা পথেই রয়েছে। তবে তারা সজাগ আছেন। আসলে প্রশাসনকে অবহিত করবেন। এছাড়াও পাশ্ববর্তী উপজেলা সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ডাঙ্গারচরে কিছু লোকজন এসেছে। তারা নিয়মিত পাত্রখাতা এলাকায় ও থানাহাট ও জোড়গাছ বাজারে আসা যাওয়া করছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, চিলমারীসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার কয়েক হাজার শ্রমিক দীর্ঘদিন থেকে মুন্সিগঞ্জ এবং নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন এলাকায় ইটখোলায় ও বিভিন্ন ফ্যাক্টরীতে কাজে নিযুক্ত রয়েছে। করোনার আক্রান্ত বেড়ে যাওয়ায় ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জ লগডাউন করেছে প্রশাসন। করোনার প্রভাবে সবকিছু বন্ধ হয়ে গেলে এসব শ্রমিক সেখানেই আটকা পড়ে। কাজ না থাকায় আটকা পড়া এসব শ্রমিক ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ আশাপাশ এলাকায় মানবেতর পরিস্থিতিতে পড়ে। মেস মালিকরাও মেসে অবস্থান করতে দিচ্ছেন না। তাই সেখান থেকেই তারা পরিবারের লোকদের সাথে যোগাযোগ করলে আটকে পড়া শ্রমিকদের পরিবার জন প্রতি দেড়-দুই হাজার টাকায় এসব নৌকা ভাড়া করেছে। মঙ্গলবার কচাকাটা ঘাট থেকে নারায়ঞ্জে রওয়না হবার সময় দু’টি নৌকা আটক করে পুলিশ।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ্ বলেন ‘খবর পেয়ে আমি নৌকার মালিকের বাড়িতে গিয়েছিলাম তাদের সর্তক করে দেয়া হয়েছে।’
এদিকে সড়কপথে মাইক্রো ও ট্রাকে করে ঢাকাসহ গার্মেন্টস এলাকা থেকে রাতের বেলায় অনেকে ফিরছে। প্রশাসনের নজরদারি এড়াতে নানা কৌশল অবলম্বন করছেন তারা। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের বাসিন্দা এনামুল হক জানান, বৃহষ্পতিবার ভোরে বাংটুরঘাট পার হয়ে ৪০ জনের একটি দল ফুলবাড়ীর দিকে গেছে। বুধবারেও এরকম কয়েকটি ছোটদলকে পার হতে দেখা গেছে। এভাবে করোনাপ্রবণ এলাকা থেকে লোকজন এসে হাটে-বাজারে অবোধে ঘোরাফেরা করায় আতংক দেখা দিয়েছে চরাঞ্চলে।

Facebook Comments
Share
  •  
  •  
  •  
  •  
error: Encrypted Content!