কুড়িগ্রামে পানি বাড়ছে: নদী ভাঙনে ৪শত পরিবার গৃহহীন

বিভাস প্রতিবেদক:
বর্ষণ ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমার ও তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা) ব্রহ্মপুত্রে ১৪ সেন্টিমিটার, ধরলায় ৩৮ সেন্টিমিটার, দুধকুমারে ১৪ সেন্টিমিটার ও তিস্তায় ৬ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।
ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার মাত্র ৩০ ও ধরলার পানি ৫২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। প্রায় দুই শতাধিক চর ও দ্বীপচরের কয়েশ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার ফসল ও গ্রামীণ সড়ক নিমজ্জিত হয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডর নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আরিফুল ইসলাম জানান, ভারত ও বাংলাদেশ অংশে বৃষ্পিাত অব্যাহত থাকায় নদ-নদীর পানি আরো বাড়বে এবং চলতি মাসের শেষের দিকে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করবে।
এদিকে বুধ ও বৃহষ্পতিবার কুড়িগ্রামে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, বৃহষ্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই বৃষ্টি আরো দু’দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
পানি বাড়ার সাথে সাথে নদ-নদীর ভাঙনও তীব্র রুপ নিয়েছে। গত তিন সপ্তাহে জেলায় নদী ভাঙনে চার শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। ধরলা নদীর ভাঙনে বৃহষ্পতিবার রাজারহাট উপজেলার জয়কুমর কামারপাড়ায় নতুন করে আরো ৩টি পরিবার গৃহহীন হয়েছে। এই মৌসুমে ২০টি পরিবার ভাঙনের শিকার হয়েছে। এই এলাকায় বাসিন্দা নুরজামাল মাষ্টার জানান, ভাঙন তীব্র রুপ নেয়ায় ঘরবাড়ি সরিয়ে নেয়ার মতো সময় মিলছেনা। গত তিন সপ্তাহে ভাঙনের শিকার হয়ে চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নে দুই শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান আবু হানিফা।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মো: রেজাউল করিম জানান, বন্যার মোকাবেলার জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করে ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

Facebook Comments
Share
  •  
  •  
  •  
  •  
error: Encrypted Content!