বিভাস প্রতিবেদক:
টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে বন্যা দেখা দিয়েছে। ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এ দুটি নদীর অববাহিকার দুই শতাধিক চরের বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ। শুক্রবার বিকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ধরলার পানি বিপৎসীমার ১৩ ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়ছে তিস্তা ও দুধকুমারেও।
বন্যা কবলিত এলাকায় প্রতিনিয়ত নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এসব এলাকার পাট, সবজি ও বীজতলা নিমজ্জিত হয়েছে। গ্রামীণ সড়কগুলো ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে অনেক এলাকায়। যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে নৌকা ও কলাগাছের ভেলা ব্যবহার করছে চরবাসী। শুকনো জায়গার অভাবে অনেকেই রান্না করতে পারছেনা। প্রবল বর্ষণেও রাস্তার উপর চালা করে অনেকে আশ্রয় নিচ্ছেন। সারডোব বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ কয়েকটি এলাকায় বাঁধ ও সড়ক ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
ব্রহ্মপুত্রের চর মশালের চরের বাসিন্দা মুসা মিয়া ও ভগবতির চরের জাহাঙ্গীর আলম জানান, চরের অধিকাংশ ঘর বাড়িতে পানি উঠেছে। অনেকেই উঁচু ভিটায় থাকলেও নিচু ভিটার বাসিন্দারা নৌকা ও চৌকির উপর আশ্রয় নিয়েছে। কেউ কেউ নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্র ও স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানান তারা। নওয়াবশ গ্রামের শহিদুল ইসলাম জানান, গ্রামের রাস্তাগুলো ভেঙে গর্ত পড়ায় চলাচল করা যাচ্ছেনা।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মো: রেজাউল করিম জানিয়েছেন, বন্যার মোকাবেলার জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করে ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রামে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার উপরে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী
Facebook Comments
Share