কুড়িগ্রামে ১২ ঘন্টায় ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টি: আবারো বাড়ছে নদ-নদীর পানি

বিভাস প্রতিবেদক:
ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে নদ নদীর পানি নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে। রবিবার ভোর ৬টা থেকে বিকাল তিনটার মধ্যে নুনখাওয়া পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ১২ সে.মি. সেতু পয়েণ্টে ধরলার পানি ৯ সে.মি. ও কাউনিয়া পয়েণ্টে তিস্তার পানি ১০ সেন্টিমিটার বেড়েছে। বিকালে ধরলার পানি বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ব্রহ্মপুত্রের নুনখাওয়ায় ৫১ ও চিলমারীতে ৬৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শনিবার দিবাগত রাত থেকে কুড়িগ্রামে অবিরাম ভারী বর্ষণ হচ্ছে। রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানিয়েছেন, শনিবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে রবিবার বিকাল ৩টার পর্যন্ত ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই বৃষ্টি ২১ জুলাই পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। ভারি বর্ষণের কারণে কুড়িগ্রাম শহরের অলিগলি সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক ও অফিস চত্বর নিমজ্জিত হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
চিলমারীর কাচকোলে ভাঙা রাস্তা দিয়ে পানি ঢুকে চিলমারী উপজেলা শহর ও সংলগ্ন অর্ধশত গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে বীজতলা, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। এই উপজেলায় পানিবন্দী হয়েছে লক্ষাধিক মানুষ। কুড়িগ্রাম-সোনাহাট, কুড়িগ্রাম যাত্রাপুর, রৌমারী-রাজীবপুর, কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়ক, বন্যা নিয়ন্ত্র বাঁধ ও কুড়িগ্রাম-রমনা রেললাইনের ধারে আশ্রিত হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। এরমধ্যে আশ্রয় নেয়া রমনাঘাট গামী সড়কটিতে পানি ওঠায় বানভাসিরা বৃষ্টিতে ভিজে পানির উপর দাঁড়িয়ে আছে। এদিকে তিস্তার ভাঙনে রাজারহাটের বুড়ির হাটে একটি স্পারের কিছু অংশ ধবসে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড শনিবার থেকে স্পারটি রক্ষার চেষ্টা করছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আরিফুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ সময় ধরে বন্যা থাকায় বাঁধগুলো ঝুঁকিতে পড়তে পারে। সেক্ষত্রে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করে বাঁধ ও স্থাপনাগুলো রক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

Facebook Comments
Share
  •  
  •  
  •  
  •  
error: Encrypted Content!