চিলমারীতে ১ কিলোমিটার শহর রক্ষা বাঁধ ও ১৫ ভেন্টের রেগুলেটর স্থাপনের ঘোষণা

বিভাস প্রতিবেদক:
কুড়িগ্রামের রাজিবপুর ও চিলমারী উপজেলার দূর্গম চরাঞ্চলে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজিবপুর উপজেলার বন্যা কবলিত এলাকার মানুষজনের খোঁজখবর নিয়ে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে মোহনগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ৩ শতাধিক বন্যা দুর্গত পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার ত্রাণসামগ্রীসহ পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট ও অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। পরে চিলমারী উপজেলার বন্যা কবলিত ও ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে অষ্টমীরচর ইউনিয়নের ভাতপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ৩ শতাধিক পরিবারের মাঝে একই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো: জাকির হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তারাঞ্চলীয় প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুস শহীদ, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আরিফুল ইসলাম, চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার বীর বীক্রম, চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডব্লিউ এম রায়হান শাহ্, প্রমুখ।
পরে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার চিলমারী উপজেলা শহরের জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শন করে বলেন, আগামী ৬ মাসের মধ্যে চিলমারী উপজেলাকে বন্যার পানি ঢুকে জলাবদ্ধতা রোধ করতে ১ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হবে। সাথে একটি রেগুলেটর স্থাপন করা হবে। যাতে করে বন্যার পানি উপজেলা শহরে প্রবেশ করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করতে না পারে। পাশাপাশি বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলেও ১৫ ভেন্টের রেগুলেটর দিয়ে তা নদীতে বের করে দেয়া সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য চিলমারী উপজেলা শহর রক্ষা বাঁধ না থাকায় গত দুই বছর ধরে বন্যার পানি ঢুকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে আসছে। এর ফলে দীর্ঘ সময় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে উপজেলা শহরের বাসিন্দাদের।

Facebook Comments
Share
  •  
  •  
  •  
  •  
error: Encrypted Content!