জলাবদ্ধতার কবলে রাজারহাট রেলস্টেশন

আসাদুজ্জামান রতন, রাজারহাট:
কুড়িগ্রামের রাজারহাট রেলস্টেশনে অল্প বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হয় ব্যাপক জলাবদ্ধতা। স্টেশনের সামনে ও পিছনে চলাচলের জায়গা জুড়ে জমে থাকে এই পানি। নিস্কাষনের ব্যবস্থা নেই। পাকিস্তান আমলে নির্মিত স্টেশন ভবনের ছাঁদ চুইয়ে পড়ে পানি। মেঝে আর দেয়ালে ধরেছে ফাটল। বিশ্রামাগারের মেঝেতে জমে থাকে পানি।
বুধবার সরেজমিন স্টেশনে গিয়ে দেখা যায় পানি নির্গমনের জন্য স্টেশন সংলগ্ন যে নালাগুলো আছে, দীঘদিন পরিস্কার না করায় তা অনেকটা আবদ্ধ হয়ে গেছে। এক নালা থেকে অন্য নালায় পানি নির্গমন করার জন্য ছোট পাইপ আছে, কিন্তু তাও কাজ করছেনা। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই কয়েকদিন জমে থাকে পানি। আর ভারি বৃষ্টি হলেতো কথাই নেই। তাছাড়া পানি নির্গমনের পথে নতুন করে অপরিকল্পিত বাড়িঘর নির্মাণ করায় পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এই স্টেশন দিয়ে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি চলাচল করে। এছাড়া রমনা পর্যন্ত দুটি ট্রেন ও রংপুর এক্সপ্রেসের শাটল ট্রেন চলাচল করলেও বর্তমানে করোনার কারণে তা বন্ধ।


ট্রেন চললে জলাবদ্ধতায় ট্রেন যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ে। স্টেশন দিয়ে আশপাশে যাতায়াতকারী মানুষজন, ছোট ছোট চায়ের দোকান, স্টেশন সংলগ্ন মসজিদের মুসল্লী ও রাজারহাট বাজারে আগত হাটুরেদের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। রেলপথ মন্ত্রী কিছুদিন আগে রাজারহাট স্টেশনে পরিদর্শনে এসে এসব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন বলে জানান স্থানীয়রা।
রাজারহাট স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার মো. মাইদুল ইসলাম স্টেশন বলেন, ‘শুনেছি ৬০০ ফিট আয়তনের স্টেশন প্লাটফর্ম বাউন্ডারি ওয়ালসহ ভূমি রক্ষা দেয়াল, ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নতসহ নতুন স্টেশন ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

Facebook Comments
Share
  •  
  •  
  •  
  •  
error: Encrypted Content!