আব্দুল খালেক ফারুক:
ভারি বৃষ্টি ও উজানের ঢলে পানি বাড়তে থাকায় কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। রবিবার বিকালে ধরলা নদীর বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন করে প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর আমনসহ ১৮ হাজার ১৩৫ হেক্টর জমির ফসল বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। অনেক এলাকায় প্রায় শতভাগ আমন ক্ষেত এখন পানির নিচে। ভারি বৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রাম সদরের কাঁঠালবাড়ী, মোঘলবাসা, হলোখানা, রাজারহাটের ছিনাই, মহিধর, মীরেরবাড়ি. দেবালয় এবং ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙা ও শিমুলবাড়ী ইউনিয়নে শত শত হেক্টর জমির বেগুন, মুলা, কপি, লাল শাকের ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। খড় নষ্ট ও গোচারণভূমি ডুবে থাকায় দেখা দিয়েছে গোখাদ্যের সংকট। খড়ের দাম দ্বিগুন হওয়ায় গবাদী পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে গরুর মালিকরা। চরাঞ্চলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে বাড়ছে ভোগান্তি।
ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদের ভাঙন অব্যাহত রয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। গত দু’দিনে বিভিন্ন এলাকায় আরো শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে বাঁধ ও রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে তাদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। বিশেষ করে রবিবার সকালে কয়েকঘণ্টা ব্যাপী মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় নদী ভাঙন কবলিত মানুষজন বিপাকে পড়েছে। শনিবার নদী ভাঙনে বিলীন হয়েছে রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ভাঙন অব্যাহত রয়েছে জেলার ৬৭টি পয়েন্টে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, ধরলাসহ অন্যন্য নদ-নদীতে পানি আরো দু একদিন বাড়বে। তবে বড় ধরণের বন্যার কোন আশঙ্কা নেই।
কুড়িগ্রামে ১৮ হাজার হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে
Facebook Comments
Share