রাজারহাটে সড়ক সংস্কারের অভাবে দুর্ভোগ চরমে

সাইমুল ইসলাম : কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার রাজারহাট-সেলিমনগর সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ৭ কিলোমিটার এই সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে গিয়ে খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই খানা-খন্দে পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে সড়কটি। পানিতে তলিয়ে থাকায় কোন জায়গায় ভাঙা তা বোঝা যায় না। রিকশা, অটো রিকশা, অটোসহ বিভিন্ন যানবাহনের চাকা ভাঙা স্থানে পড়ে অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। মাঝে মধ্যেই ভাঙা অংশে পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়ে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সড়কটি নিয়ে খুব বিপদে আছে। বৈদ্যেরবাজার এলাকায় দু্র্গা মূর্তি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন মালাকারেরা। কিন্তু সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে দুশ্চিন্তার শেষ নেই। তাছাড়া রাজারহাট-খেদাবাগ সড়কটি রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসার একমাত্র সড়ক। সড়কের অচলাবস্থার কারণে অনেক সময় রোগীকে নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় রোগীর স্বজনদের। সময়মত রোগীকে হাসপাতালে আনা-নেওয়াতে সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। সড়ক খারাপ হওয়ায় গাড়ি ভাড়া পাওয়া দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে অনেক সময়। এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘ চার বছর ধরে সড়কের অচলাবস্থা। ঠিকমত চলাচল করতে পারেন না, দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সড়ক মেরামতের জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী । বড়বাড়ী এলাকার অটো চালক আনারুল জানান, “সড়কের ভাঙাচুরার কারণে তিনদিন পরপর অটোর জিনিস পাল্টাতে হয়।” বৈদ্যেরাদবাজার এলাকার তপন মালাকার বলেন, “এবছর করোনার কারণে প্রতিমা তৈরির কাজ বেশি পাই নাই। যা পাইছি সব রাজারহাট, ঘড়িয়ালডাঙা, নাজিমখাঁ ও চাকিরপাশা এলাকার সনাতন ধর্মালম্বী লোকদের। সড়কের অবস্থা ভালো না থাকার কারণে অনেকে অন্য স্থান থেকে প্রতিমা সংগ্রহ করছেন।”
কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আলী নুরাএন জানান, এই সড়কটি এলজিইডি মেরামত করে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাছে হস্তান্তর করবে। যতদূর শুনিছি তারা ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করবে।

Facebook Comments
Share
  •  
  •  
  •  
  •  
error: Encrypted Content!