আদা চাষে লাখোপতি রাজারহাটের কৃষক এনামুল

আব্দুল খালেক ফারুক:
বাড়ির পাশের ৫৫ শতক উঁচু দো আঁশ মাটির একখন্ড জমি। তাতেই দু’বছর ধরে দেশি জাতের আদা চাষ করে দারুণ সাফল্য পেয়েছেন কৃষক এনামুল। গত বছর এই জমিতে আদা চাষ করে দুই লাখ টাকা আদা বিক্রি করেছেন। সাথী ফসল হিসেবে শসা, চালকুমড়া ও মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে পেয়েছেন আরো ৫০ হাজার টাকা। এবছর সাথী ফসল ২০ হাজার টাকা বিক্রি করলেও আদায় দুই লাখেরও বেশী টাকা বিক্রির আশা করছেন এনামুল। একটি মাত্র জমিতে আদা চাষ করে এনামুল তার আর্থিক অবস্থার অনেক উন্নতি করেছেন।
কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের পাঠক পাড়া গ্রামে এনামুলের বাড়ি। তিনি জানান, গত বছরের মতো তার আদা ক্ষেত বেশ ভালো হয়েছে। অতিবৃষ্টিতে তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। এবছর আদা চাষে খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। গোবর সার ও বীজ বাবদ খরচ একটু বেশী। এছাড়া, স্প্রেসহ অন্যান্য পরিচর্যা করেছেন নিয়মিত।
এনামুল জানান, এই ৫৫ শতক জমিতে প্রায় ৯০ মণ আদা উৎপাদনের আশা করছেন তিনি। বর্তমানে প্রতিমণ আদার দাম পাইকারী বাজারে ৩ হাজার ২০০ টাকা। সেই হিসেবে আড়াই লাখেরও বেশী টাকা আদা বিক্রি করার আশা তার। নিজস্ব চাষ কৌশল প্রয়োগ করে আদা চাষে সাফল্য এসেছে বলে দাবী কৃষক এনামুলের।
তিনি জানান, প্রতি বছর আদার দাম বেড়ে যায়। বিদেশ থেকে আদা আমদানি করতে হয়। তার মতো উঁচু জমিতে অনেকেই আদা চাষ করে দেশের চাহিদা মেটাতে পারেন।
রাজারহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শম্পা আক্তার জানান, চলতি মৌসুমে রাজারহাট উপজেলায় ৪৮ হেক্টর জমিতে আদা চাষ করা হয়েছে। এছাড়া আদা, হলুদ, পেঁয়াজ ও রসুনসহ মসলা জাতীয় ফসলের চাষ বাড়াতে কৃষকদের বীজসহ নানা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

Facebook Comments
Share
  •  
  •  
  •  
  •  
error: Encrypted Content!