কবুতর পালনে সফলতা পেয়েছেন নাজমুল

সাইমুল ইসলাম সাজু:
পারিবারিক কবুতর খামারে সফলতা পেয়েছেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের নাজমুল হোসেন। নাজমুল ডিগ্রী দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। করোনায় পড়াশোনা বন্ধ থাকায় শখের বশে গড়ে তোলেন কবুতরের খামার। তাড়নায় চা দোকানের পাশাপাশি ৩ মাস আগে শখের বশে কবুতর পালন শুরু করেন। প্রাথমিক অবস্থায় তার আনুষঙ্গিক ব্যয় বাদে প্রথম মাসে আয় হয়েছে তিন হাজার টাকা। নাজমুলের কবুতর খামার করার কথা শুনে প্রতিনিয়ত তার বন্ধুবান্ধব ও কবুতর প্রেমিকরা কবুতর পালনের খবর শুনে এক নজর দেখতে ছুটে আসেন তার পারিবারিক খামারে। খামারে ৬টি জাতের কবুতরের মধ্যে গিরেবাজ, হোমার, কাগজি, লালমূখি, ঘিয়াচুন্নি ও ঝাঁক। এছাড়াও প্রতি জোড়া কবুতরের মুল্য ৩০০ থেকে ১৫শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন। এছাড়া প্রতিমাসে কবুতর কে ১০-১৫ কেজি গম, খেসারি, শষ্য, খাবার দিতে হয়। ওষুধ ও বিভিন্ন খরচ বাদ দিয়ে প্রাথমিক অবস্থায় প্রতি মাসে আয় ৩ হাজার টাকা। কবুতরের বাক-বাকুম ডাকে এবং রং বে-রংয়ের কবুতর দেখে আগতরা মুগ্ধ হচ্ছেন। তার দেখাদেখি কয়েকজন ছাত্র কবুতর খামার গড়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন। কবুতর পালন লাভজনক বলে কড়িগ্রাম সরকারি কলেজের ইন্টারমিডিয়েট দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আতিক শখের বশে বাড়িতে কবুতর পালন শুরু করেছেন। পাশ্ববর্তী সন্ন্যাসী এলাকার মিনহাজুল দেড় বছর আগে কবুতর পালন শুরু করেন। এখন প্রতিমাসে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় হয়।
নাজমুল জানায়, আমার খামারে বিভিন্ন প্রজাতির ৩২ জোড়া কবুতর রয়েছে। কবুতর পালন করতে হলে খোলামেলা পরিবেশের প্রয়োজন। এতে কবুতরের বিভিন্ন সমস্যা দুর হয়। প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষে এ বিষয়ে উন্নত প্রশিক্ষণ ও ঋণ সহায়তা পেলে আমার কবুতর খামারকে আরো এগিয়ে নেয়া সম্ভব। তিনি আরো বলেন, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করা হলে কবুতর রোগ মুক্ত হতে পারে। ফলে বেকারত্ব দুরীকরণ সম্ভব হবে।

Facebook Comments
Share
  •  
  •  
  •  
  •  
error: Encrypted Content!