দেশের সব বন্দরের সঙ্গে রেল যোগাযোগ গড়ে তোলা হবে— কুড়িগ্রামে রেলমন্ত্রী সুজন

বিভাস প্রতিবেদক:
রেল মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, বিএনপি—জামায়াত সরকার রেলকে উঠিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিল। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে রেলকে সম্প্রসারণ করার কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। পযার্য়ক্রমে দেশের সব জেলা ও বন্দরকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। তিনি শুক্রবার সরকারি এক সফরের কুড়িগ্রামে চিলমারী উপজেলার রমনা রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শনেকালে এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, রেলওয়েকে একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী যোগাযোগ ব্যবস্থা করতে চান প্রধানমন্ত্রী। যে সব জেলায় রেল নাই, সেব জেলাকে সংযুক্ত করার জন্য নতুন নতুন ট্রেন চালু ও রেল লাইন সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ঢাকার সাথে রেল পথে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস নামে ট্রেন চালু করা হয়েছে। এই ট্রেনটি উলিপুর স্টেশন পর্যন্ত চলাচলের জন্য আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। পরবর্তিতে রমনা স্টেশন পর্যন্ত চালু করা হবে। এছাড়া চিলমারী নৌবন্দরের সঙ্গে রেল যোগাযোগ আরো উন্নত করা হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী চিলমারী নদী বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। বন্দরটির সাথে রেল—নৌ যোগাযোগ স্থাপনের জন্য আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে করে প্রতিবেশি দেশগুলোর সাথে ব্যবসা—বাণিজ্যের দ্বার উন্মোচিত হয়।
বিকালে মন্ত্রী কুড়িগ্রাম নতুন শহরস্থ উত্তরবঙ্গ জাদুঘর পরিদর্শন ও বেশ কিছু মূল্যবান স্মারক উন্মোচন করেন। এ সময় মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান কী ধরনের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন জানিনা। তবে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সব স্মৃতি মুছে ফেলার চেষ্টা করেছেন, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি আর বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুণবার্সিত করেছেন। ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে বলে নতুন প্রজন্মেও সামনে ইতিহাসের প্রামাণ্য দলিল তুলে ধরার প্রয়োজন রয়েছে।
এসময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন—এমপি,রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা, মহাপরিচালক ডিএন মজুমদার, মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ্, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) কামরুল হাসান, বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক শাহ্ সুফি নুর মোহাম্মদ, কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি জাফর আলী, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা, কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহম্মেদ মঞ্জু প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
সকালে রেল মন্ত্রী চিলমারী নদীবন্দরের রমনা ঘাট পরিদর্শন করেন। এসময় চিলমারী উপজেলা আওয়ামীলীগ, রেল—নৌ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণ কমিটি ও ব্রহ্মপুত্র নদে দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

Facebook Comments
Share
  •  
  •  
  •  
  •  
error: Encrypted Content!