বিভাস প্রতিবেদক:
করোনাকালে বেশ কিছু প্রশংসনীয় মানবিক কাজ করে সুনাম কুড়িয়েছেন ঢাকার বংশাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নুর আলম। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের মহেন্দ্রনারায়ণ গ্রামের বাসিন্দা নুর আলমের এসব কর্মকান্ড প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার হয়েছে। ২০০১ সালে নুর আলম পুলিশে যোগদান করেন। এক বছর আগে তিনি বংশাল পুলিশ ফাঁড়িতে যোগ দেন।
জানা গেছে, করোনা ভাইরাস সম্পর্কে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম হিসাবে শুরুতেই স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় কয়েক হাজার মাস্ক বিতরণ করেন। যা সময় টিভির সংবাদে প্রচারিত হয়। সরকার লকডাউন ঘোষণা করার পর ফুটপাতে অসহায় মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ শুরু করেন তিনি। এলাকায় সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়।
ফাঁড়ির ৩১ জন পুলিশ সদস্যের বেতন-বোনাস আর রেশন থেকে খাদ্যকষ্টে পড়া মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে গোপনে খাবার বিতরণ ছাড়াও লকডাউন-আইসোলেশনে থাকা ২শত পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেন। এছাড়া ঈদের বোনাসের টাকা থেকে ১৫টি মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে ঈদ উপহার সামগ্রী প্রদান করেন পুলিশের এই মানব দরদী কর্মকর্তা।
এসব কর্মকান্ড নিয়ে একাত্তর টিভি, এটিএন বাংলা, নিউজ টুয়েন্টিফোর, মোহনা টিভিসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়াতে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা বংশাল থানাধীন বংশাল পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায়, মাদকদ্রব্য,চাঁদাবাজি, জুয়া,ফুটপাত দখল মুক্ত, স্কুল কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, গির্জার সামনে আবর্জনা পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করে সবার নজর কাড়েন। প্রতিটি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও মসজিদে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম করেন। গত বছর ডেঙ্গু নিরসনে ব্যাপকভাবে এলাকাকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করেন তিনি।
বংশাল পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় ১০০ টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়। এলাকায় মাদকমুক্ত করতে অভিযানের পাশাপাশি সচেতনামুলক কাজের অংশ হিসেবে নিয়মিত উঠান বৈঠক করেন।
নুর আলম জানান, ভবিষ্যতে তিনি ভালো কাজ করতে চান। মানুষের পাশে থেকে তাদের সেবা করে যেতে চান।
মানবিক কাজ করে প্রশংসিত কুড়িগ্রামের সন্তান পুলিশ কর্মকর্তা নুর আলম
Facebook Comments
Share