বিভাস প্রতিবেদক:
ছিলেন ইউপি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। সংসদ নিবার্চনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরেছেন। পুণরায় ইউপি নিবার্চনে প্রার্থী হয়ে আলোচনায় আব্দুল হাই মাস্টার। একটি অটো রিকশায় মাইক লাগিয়ে নিজের মাইকিং করছেন নিজের। আর একটানা ক্লান্তিহীন বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ভোটারদেও উদ্দেশ্যে। তাঁর ব্যতিক্রমী প্রচার কৌশল ও বক্তব্য সাড়া ফেলেছে জনমনে। কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নে মোটর সাইকেল মার্কা নিয়ে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আব্দুল হাই মাস্টার।
আব্দুল হাই মাস্টার বিগত সময়ে উপজেলার সোনাহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তারপর ২০০৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাকের পার্টির ব্যানারে কুড়িগ্রাম—১ আসনে নির্বাচন করে পরাজিত হন। সেই থেকে প্রতিটি নির্বাচনে হারলেও অংশ গ্রহন করতে পিছপা হননি আব্দুল হাই মাস্টার।
আব্দুল হাইয়ের নিবার্চনী প্রচারণা বরাবরই ভিন্নরকম। এই নিবার্চনকে ঘিরে অন্য প্রার্থীরা মিটিং মিছিল ও কর্মীদের নিয়ে জমকালো শোডাউনের আয়োজন করলেও আব্দুল হাই মাস্টার একাই চালিয়ে যাচ্ছেন তার নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা। এই নির্বাচনে তাঁর কোনো কর্মী নেই, নেই কোন শোডাউন। নেই কোন মিটিং মিছিল। প্রার্থী নিজেই মাউথপিস হাতে নিয়ে অটো রিকশায় করে তাঁর মোটরসাইকেল মার্কায় ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন।
স্থানীয় ভোটাররা বলেছেন, আব্দুল হাই মাস্টার নামের চেয়ে ‘হাই পাগলা’ নামে তিনি বেশ পরিচিত। তিনি একটি বেসরকারি হাইস্কুলের শিক্ষক। নির্বাচনে দাড়ানো তার নেশা। যখন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন, সে সময় নিজ হাতে হাট বাজারের ড্রেন ও বাথরুমের ময়লা পরিস্কার করতেন বলে ‘হাই পাগলা’ নাম হয়। সেই থেকে সবাই তাকে হাই পাগলা নামে চেনেন। সাধারণ মানুষ চাঁদা দিয়ে তাঁর নিবার্চনী খরচ জোগান। তার কর্মকান্ড নিয়ে হানিফ সংকেত ইত্যাদীতে একটি বিশেষ রিপোর্ট করেন।
আব্দুল হাই মাস্টার বলেন, ‘মানুষের সেবা করতে আমার ভালো লাগে। আজীবন সুখে দুঃখে মানুষের পাশে থেকে মানুষের সেবা করতে চাই। এ কারণে বিভিন্ন ইলেকশনে আমি থেমে থাকি না। কেননা আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে মানব সেবা করা।’
তিনি বলেন, ‘আমার কোনো টাকা পয়সা নেই। জনগণই আমার সব। জনগণ যদি চায়,আমাকে ভালোবেসে থাকে তাহলে আমাকে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান বানাবে নিশ্চয়ই। আমি বরাবরই জনগণের জন্য কামলা দিতে প্রস্তুত।’
ভোটের মাঠে একাই হাই মাস্টার
Facebook Comments
Share