কুড়িগ্রাম টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ

বিভাস প্রতিবেদক:
ব্যতিক্রমী শিখন পদ্ধতি, দৃষ্টিনন্দন ক্যাম্পাস আর দক্ষ ব্যবস্থাপনা কৌশলের কারণে কুড়িগ্রাম টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৫ সালে জাতীয় পর্যায়ে সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুরস্কার পায়। এছাড়া এই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো: জমিদার রহমান ২০১৭ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে সেরা প্রতিষ্ঠান প্রধান (কারিগরী) পুরস্কার পান। একই বছর ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পুরস্কার পায়। এভাবে একে একে পুরস্কার ও সন্মাননা পাবার কারণে কুড়িগ্রাম টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজেল সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে। অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো: জমিদার রহমানের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে চলছে সাফল্যের পথে।


সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানে বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮০০। এর পাশপাশি ডিপ্লোমা ইঞ্চিনিয়ারিং কোর্সে অধ্যয়ন করছে ১১০ জন শিক্ষার্থী। ১৮ জন শিক্ষক ও ৫ জন ষ্টাফ দিয়ে সাজানো হয়েছে জনবল কাঠামো। সুচনালগ্নে এর নাম ছিল ভকেশনাল। ১৯৯৫ সালে এসএসসি ভকেশনাল এবং ১৯৯৭ সালে এইচএসসি ভকেশনালে উন্নিত হয়। ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় কুড়িগ্রাম টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ।

প্রতিানের প্রধান ফটক পেরুনোর আগেই দু’পাশে দেবদারুর গাছ নজর কাড়ে দর্শনার্থীদের। অধ্যক্ষ প্রকৌশলী জমিদার রহমানের আপ্রাণ চেষ্টায় ৪ তলা পাকা ভবন, অভ্যন্তরিণ পাকা সড়ক, ড্রেন, ফুলবাগান, ডাবল ফিডার বিদ্যুৎ লাইন, দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগান, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস মর্যাদা বাড়িয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দুটি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ব্রডব্যান্ড সংযোগসহ পুরো ক্যাম্পাসকে ওয়াইফাই জোনের আওতায় আনা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সন্মুখ ভাবে দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। ক্যাম্পাসের ভিতরে অবস্থিত পুকুরের চারপাশে ঝাউগাছসহ নানা প্রজাতির বিরল গাছ লাগানো হয়েছে। কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য মো: তাজুল ইসলাম চৌধুরী ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: জাফর আলী, পৌর মেয়র মো: আব্দুল জলিলের আর্থিক সহায়তায় প্রতিষ্ঠানে মাটি ভরাটসহ বেশ কিছু উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো: জমিদার রহমান জানান, প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়ার মান অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। গড় পাশের হার ৭০ শতাংশের উপরে। প্রতিটি ক্লাশে মাল্টি মিডিয়া সিস্টেম ব্যবহার, শতভাগ ব্যবহারিক ক্লাশ ও নিশ্চিত ও ৮ তলা ভবনের পরিকল্পনা রয়েছে।

Facebook Comments
Share
  •  
  •  
  •  
  •  
error: Encrypted Content!