গভীর রাতে মানুষ বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাহায্য করেছেন রাজিবপুরে ইউএনও

সোহেল রানা স্বপ্ন-
কুড়িগ্রাম জেলা শহর থেকে বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলীয় উপজেলা রাজিবপুর। ব্রহ্মপুত্র, সোনাভরি ও জিঞ্জিরাম এ তিনটি নদী বেষ্টিত এলাকা। বেশিরভাগ নিম্নআয়ের মানুষ গুলো বসবাস করে এই উপজেলায় এখানকার মানুষেরা ধানের মৌসুমে বিক্রমপুর কুমিল্লা গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দিনমজুরের কাজ করত।কিন্তু নোভেল করোনা বর্তমান পরিস্থিতির কারণে কাজ না থাকায় বিপাকে পড়েছে দিনমজুর ও শ্রমিকরা। দেশের এই পরিস্থিতিতে কোথায় কিভাবে আছেন খুঁজে খুঁজে নাম ঠিকানা বের করে রাতের আঁধারে একাই চলে যান সেইসব মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজ হাতে চাল ডাল আলুসহ খাদ্যেসামগ্রী পৌছে দিচ্ছেন রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান। গতবছর বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে শীতার্ত মানুষের মাঝে রাতের আঁধারে প্রত্যেকটি গ্রামে নিজ হাতে কম্বল বিতরণ করেছেন এই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। উপজেলার শিবেরডাঙ্গী গ্রামের মরিয়ম বেওয়া
হাতে ত্রান পাওয়া সাথে সাথেই অশ্রুসিক্ত নয়নে বলল- “যে বাপ মোক খাওয়ার জন্যে এগল্যা, সে বাপ দুধ ভাত খাউক।
শুধুমাত্র প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাই জনসচেতনতা তৈরি করা সম্ভব নয় বলে প্রতিটি গ্রামে গ্রামে সচেতনতা ইউনিট গঠন করে তরুণদের সাথে নিয়ে প্রতিনিয়ত সেসব এলাকায় নিজে গিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন মেহেদী হাসান। সবার এই যৌথ প্রচেষ্টায় উপজেলায় এখনো ধরা পড়েনি কোন করোনা রোগী
। সরকারি সাহায্য সহযোগিতা ছাড়াও নিজের ও বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে খাবার দেওয়ার কাজটি এখনো করে যাচ্ছেন। উপজেলা শুভসংঘ সভাপতি শহিদুল রহমান বলেন আমরা মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিয়ে স্যারকে তালিকা পাঠিয়েছিলাম স্যার নিজে এসে অবস্থা বিবেচনা করে খাবার দিয়ে গেছেন এবং বলেছেন উপজেলার কোন পরিবার যদি খাবারের অভাবে কষ্টে থাকে তাহলে সাথে সাথে আমাকে জানাবেন আমি তাদের সহযোগিতা করবো। নিজে মাঠে গিয়ে মানুষের সাথে কাজ করে বলে ইউএনও মেহেদী হাসানের নামে এলাকায় ব্যাপক প্রসংশা রয়েছে।

Facebook Comments
Share
  •  
  •  
  •  
  •  
error: Encrypted Content!