রৌমারী সীমান্তে বন্য হাতির তাড়াতে টর্চের আলো

রৌমারী প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়ন ও যাদুরচর ইউনিয়নের সীমান্ত গ্রামগুলোর পাকা ধান ক্ষেত নষ্ট করছে ভারতের বন্য হাতির দল। পতাকা বৈঠকেও ঠেকাতে পারছেনা হাতির দলকে।
ভারতের আসাম রাজ্যের কালাইরচর এলাকার পাহাড় থেকে হাতির দল নেমে আসলেই কাঁটাতারের বেড়ার গেট খুলে দিচ্ছে ভারতের বিএসএফ। সেই গেট দিয়ে হাতির দল ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশের ভূ-খন্ডের অভ্যন্তরে। শুধু রাতে নয়- দিনের বেলাতেও আসছে। ক্ষতি করে বেড়াচ্ছে শতশত হেক্টর জমির ধান। চলে যাচ্ছে-আবার আসছে। এমন অবস্থার প্রায় বছরেই ঘটছে।
২ জুন মঙ্গলবার দিনের বেলায় ২৬ টি হাতি রৌমারী সদর ইউনিয়নের বড়াইবাড়ী গ্রামে চষে বেড়াচ্ছিল।
এরফলে সদর ইউনিয়নের বড়াইবাড়ি, চুলিয়ারচর ও ঝাউবাড়ি এবং যাদুরচর ইউনিয়নের পাহাড়তলী বিক্রিবিল দক্ষিণ আলগারচর, খেওয়ারচর, বকবান্ধা এই ৮ গ্রামের হেক্টরের পর হেক্টর পাকা ধান ক্ষেত তছনছ করছে বন্য হাতির দল।
বড়াইবাড়ী গ্রামের কৃষক নাসির উদ্দিনের আড়াই বিঘা, দক্ষিণ আলগারচরের হায়দার আলীর ২ একর এবং খেওয়ারচরের এমদাদুল হকের ৫ বিঘা ধান ক্ষেত তছনছ করেছে বলে জানিয়েছেন। এতে বিপুল পরিমাণ ক্ষতির মুখে পড়েছেন। সেইসাথে হাতির দল কখন লোকালয়ে ঢুকে জানমালের ক্ষতি করবে এই আতংকে দিন কাটাচ্ছেন তারা।
উপজেলা কৃষি অফিসার শাহরিয়ার হোসেন জানান, বন্য হাতির দল এ পর্যন্ত ৪০ জন কৃষকের ২৫ হেক্টরের মতো পাকা ধান ক্ষেত নষ্ট করেছে। এ অবস্থায় হাতির দল সরে যাওয়ার সাথে সাথে ধান কেটে নিচ্ছেন কৃষকরা।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল ইমরান বলেন, সন্ধ্যায় এক দল ঢুকছে এবং সকালে চলে যাচ্ছে। আবার সকালে আসছে আরেক দল। বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়ার গেট খুলে দেওয়ায় হাতির দলগুলো একের পর এক বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে ফসল নষ্ট করছে। এজন্য চোখে টর্চ লাইটের আলো ফেলে হাতির দলকে তাড়ানোর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এজন্য পর্যাপ্ত টর্চ লাইট সরবরাহের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

Facebook Comments
Share
  •  
  •  
  •  
  •  
error: Encrypted Content!