কুড়িগ্রামে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে আছে

বিভাস প্রতিবেদক:
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমারের পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় কুড়িগ্রামে ৯ হাজার ৭৮৯ হেক্টর জমির ফসল বন্যার পানিতে ডুবে আছে। পানি দ্রুত না নামলে নিমজ্জিত বেশীরভাগ ফসল সম্পূর্ণ নষ্ট হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে কৃষি বিভাস ও কৃষকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সুত্রে জানা গেছে, শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় ৫ হাজার ৮৪০ হেক্টর পাট, ৫৩২ হেক্টর বীজতলা, ১ হাজার ৯৫৫ হেক্টর আউস ধান, ৮৬০ হেক্টর সবজিসহ ৯ হাজার ৭৮৯ হেক্টর জমি ফসল তলিয়ে আছে। প্রতিদিন আক্রান্ত জমির পরিমাণ বাড়ছে।
সদর উপজেলার কাচিরচর গ্রামের কৃষক এরশাদ হোসেন জানান, বন্যার পানিতে তার এক একর জমির পাটক্ষেত ডুবে আছে। ১০ দিনের বেশী এই পাট ডুবে থাকায় ধীরে ধীরে বিবর্ণ হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একই অবস্থা এই গ্রামের সফিয়ারসহ কয়েকজন পাটচাষী। ধরলা তীরবর্তি উত্তর নওয়াবশ, কদমতলা ও কাচিরচরে কয়েকশ একর জমিতে পটল, বেগুন ও ঝিঙ্গা চাষ হয়। এবার আগাম বন্যার কারণে সব ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। উত্তর নওয়াবশের পটল চাষী হবি মিয়া জানান, তার এই পটল বিক্রি করে বছরের বেশীরভাগ সময় সংসারের ব্যয় নির্বাহ করেন। সেই ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় তারা এখন চোখে অন্ধকার দেখছেন।
রাজারহাট উপজেলার নামা জয়কুমর গ্রামের কৃষক ইনসাফুল হক ও মোস্তফা মিয়া জানান, গ্রামের প্রায় সকল কৃষকের আমন বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন করে বীজতলা তৈরীতে খরচের পাশাপাশি শুকনো জায়গা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। একই অবস্থা চর সারডোবের কলিমুদ্দিন, জসিম উদ্দিনসহ বহু কৃষকের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের সহায়তায় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

Facebook Comments
Share
  •  
  •  
  •  
  •  
error: Encrypted Content!