কুড়িগ্রাম-ভুরুঙ্গামারী সড়ক নিমজ্জিত

বিভাস প্রতিবেদক:
কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপৎসীমার ১০৩ মেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৬ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ৮৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ৫৬টি ইউনিয়নের ৫শতাধিক গ্রামের প্রায় তিন লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অব্যাহত পানি বৃদ্ধির কারণে জেলা-উপজেলা শহরের সাথে চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো মানুষ।
ধরলা নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় কুড়িগ্রাম-ভুরুঙ্গামারী মহাসড়কের চন্ডিপুর এলাকার তিনটি স্থানে পানি উঠেছে। ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করলেও পানি বাড়তে থাকায় যেকোন মুহুর্তে এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হতে পারে। এতে নাগেশ^রী, ভুরুঙ্গামারী ও সোনাহাট স্থলবন্দরের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে।
বানভাসি মানুষের মাঝে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার ও জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে। উঁচু রাস্তা, বাঁধ ও আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ। তবে নৌকার অভাবে অনেকেই নিরাপদ স্থানে যেতে পারছেনা।
ধরলা নদীর পানির প্রবল চাপে সোমবার সদর উপজেলার সারডোবে একটি বিকল্প বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যায়। ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে গত ২৪ ঘন্টায় আরো ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্রবল ¯্রােতে বেশকিছু ঘরবাড়ি ও গাছপালা বিধস্ত হয়েছে। হাঁস মুরগী, আসবাবপত্র, ধান-চালসহ অনেক মালামাল ভেসে গেছে।

Facebook Comments
Share
  •  
  •  
  •  
  •  
error: Encrypted Content!