ফুলবাড়ীতে ওয়াপদা বাঁধ কেটে দেওয়ায় ২০ হাজার মানুষের যোগাযোগ বিছিন্ন

অনিল চন্দ্র রায়, ফুলবাড়ী:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ধরলা নদীর তীর রক্ষা বাঁধটি রাতের আঁধারে কে বা কারা কেটে দেওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ। বাঁধটি কেঁটে দেওয়ায় ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তিতে পড়ায় সবার মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্বধনিরাম গ্রামের স্লুইস গেটের পশ্চিম পাশে ছাটকুঠি এলাকায় গত সোমবার গভীর রাতের কে বা কারা ওয়াপদা বাধঁটি কেঁটে দেয়। পরে মুহূর্তের মধ্যে বাঁধের প্রায় ৩০০ ফুট অংশ ভেঙে গিয়ে প্রচন্ড বেগে বন্যার পানি ঢুকে পড়ে লোকালয়ে। এরই মধ্যে ওই এলাকার নুর মোহাম্মদের বসত বাড়ি ভেঙে গেছে। হুমকির মধ্যে রয়েছে সিরাজুল ইসলাম,বাবলু মিয়া, বজলে ও ফজলের বসতবাড়ি। এ ছাড়াও কেঁটে দেওয়া ওয়াপদা বাধেঁর মাঝখানে দাড়িয়ে আছে লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ছাটকুঠি সেতুটি। ফলে চারদিন ধরে পূর্ব-ধনিরাম ও পশ্চিম ধনিরাম সম্পূর্ণভাবে যোগাযোগ বিছিন্ন।
ওয়াপদা বাঁধটি কেঁটে দেওয়ায় পাশ্ববর্তী গ্রাম বাঘ খাওয়ার চর, পূর্ব ধনিরাম আবাসন প্রকল্প, গেটের বাজার, ব্যাপারী টারী, সাহেব বাজার, ঘাটিয়ালটারী, ঘোঘারকুঠি, ছাটকুটি গ্রামের ২০ হাজার মানুষের যোগাযোগ বিছিন্নতায় পড়েছেন।
স্থানীয় জহুরুল হক, রহমত আলী, মজিবর রহমান ও রাকিবুল হাসানসহ অনেকে জানান, এ নিয়ে ওই এলাকায় তিন থেকে চার বার ওয়াপদা বাঁধ কেটে দিয়েছে। কিন্তু পাশেই স্লুইস গেট দিয়ে পানি নিয়মিত ভাবে নিস্কাশন হলেও কেন বাধঁটি কেটে দেওয়া হলো তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খয়বর আলী জানান, রাতের আঁধারে কে বা কাহারা এই বাধঁটি কেটে দিলো আমার জানা নেই। তবে যারা এ কাজটি করেছে তারা এটা অন্যায় করেছে। তবে এনিয়ে ওয়াপদা বাঁধটি তিন থেকে চার বার কেটে দিলো। এখন সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাাহী অফিসার (ইউএনও) তৌহিদুর রহমান জানান, আমরা বিষয়টি কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ণ বোর্ডকে জানানো হয়েছে। তারা পরবর্তি ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

Facebook Comments
Share
  •  
  •  
  •  
  •  
error: Encrypted Content!