কুড়িগ্রামে দুই দিনব্যাপী ভাওয়াইয়া উৎসব শেষ

বিভাস প্রতিবেদক:
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো দু’দিন ব্যাপী ভাওয়াইয়া উৎসব। এই উৎসবে ভাওয়াইয়া পরিবেশন করেন ভারত ও বাংলাদেশের দেড় শতাধিক শিল্পী। ভাওয়াইয়া গানের ধাম হিসেবে পরিচিত কুড়িগ্রামের প্রাণের গান ভাওয়াইয়ার এই আয়োজনে উচ্ছ্বসিত স্থানীয় শিল্পী ভাওয়াইয়াপ্রেমি দর্শকরা।
২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে দু’দিন ব্যাপী ভাওয়াইয়া উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি। জেলা প্রশাসন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় এই উৎসবে প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভাওয়াইয়া গান পরিবেশন করেন রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত জনপ্রিয় ভাওয়াইয়া শিল্পীরা। ভাওয়াইয়া উৎসবে আগত দর্শকরা জানিয়েছেন, কুড়িগ্রামে মাটি আর মানুষের গান ভাওয়াইয়ার এই উৎসব আয়োজনে তারা অনেক খুশি। কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ মীর্জা নাসির উদ্দিন জানান, ভাওয়াইয়া গান কুড়িগ্রামের মাটি ও মানুষের সাথে মিশে আছে। প্রতিবছর উৎসবটির আয়োজন হলে ভাওয়াইয়া গানের চর্চা আরো বাড়বে।
১৬টি নদীর জেলা কুড়িগ্রামে জেলা ব্র্যান্ডিং ভাওয়াইয়া গান। তাই স্থানীয় ভাওয়াইয়া শিল্পীরা মনে করেন সরকারি পৃষ্টপোষকতায় ভাওয়াইয়ার এই উৎসব এই শেকড়ের গানকে অনেক দূর এগিয়ে নিবে। কুড়িগ্রামের জনপ্রিয় শিল্পী শফিকুল ইসলাম, ভূপতি ভূষণ বর্মা ও নিহার রঞ্জন বর্মা জানান, কুড়িগ্রামের মানুষের প্রাণের গান ভাওয়াইয়ার এই উৎসবের কারণে শিল্পীরা উজ্জীবিত। প্রতি বছর এই উৎসবটির আয়োজন করা দরকার।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক মো: সোহরাব উদ্দীন মন্ডল জানান, ভাওয়াইয়া গান যাতে হারিয়ে না যায় সেজন্য সরকারি উদ্যোগে জেলা ও উপজেলায় এ ধরণের আয়োজন করা হচ্ছে। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীকে এম খালিদ জানিয়েছেন, কুড়িগ্রামে ভাওয়াইয়া গানের চর্চাকে আরো এগিয়ে নিতে জেলা শিল্পকলা একাডেমির ভবনে একটি চর্চাকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।

Facebook Comments
Share
  •  
  •  
  •  
  •  
error: Encrypted Content!