ভুরুঙ্গামারী সীমান্ত দিয়ে পাগল পুশ ইন: করোনার ঝুঁকি বাড়ছে এলাকাবাসীর

বিভাস প্রতিবেদক:
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বিএসএফের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত মানসিক ভারসাম্যহীন নারী পুরুষ বা পাগল পুশ ইন করার অভিযোগ উঠেছে। বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে লাঠিপেটা করে তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দিচ্ছে নাম পরিচয়হীন এসব মানুষকে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এই কর্মকান্ডের ফলে এলাকায় করোনার ঝুঁকি বাড়ায় আতংক বাড়ছে এলাকাবাসীর মধ্যে। কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ^াস দিয়েছেন।


দেশের বৃহত্তম সীমান্তবর্তি জেলা কুড়িগ্রাম। ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং আসাম রাজ্যের সীমানা পড়েছে। উপজেলার সোনাহাট,শিলখুড়িসহ বেশ কিছু ইউনিয়নের সীমান্ত দিয়ে বিজিবি’র চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রায় সময় বিএসএফ রাতে কিংবা দিনে দু-একজন করে পাগলকে কাঁটাতারের গেট অথবা কালভার্টের নিচ দিয়ে লাঠি পেটা করে বাংলাদেশে প্রবেশ করিয়ে দেয় বলে জানান স্থানীয়রা।
এসব পাগল উপজেলাসহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে। তারা পাগল শহর-গ্রামের মানুষদের উৎপাত করায় অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন এলাকার মানুষ। ভারতীয় পাগলদের ভাষা স্থানীয়রা বুঝতে পারেন না। তাদের আচার-আচরণও অন্য রকম। মানবিকতার খাতিরে পাগলদের খাবার দিয়ে থাকেন অনেকেই। পাগলদের অনেকেই স্থানীয়দের কাপড় চোপড়সহ দৈনন্দিন জিনিষপত্র চুরি করার অভিযোগ করেন তারা।
সোনাহাট স্থলবন্দর এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, পাগলদের অনেকেই নেশা জাতীয় দ্রব্য ব্যবহার করেন। পাগলেরা হাট-বাজার গুলোতে আশ্রয় নিয়ে থাকলেও অনেক সময় নিজেদের কাপড় চোপড়ে নিজেরাই আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে করে যে কোন মুহূর্তে হাট-বাজার গুলোতে অগ্নিকান্ডসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা করছেন তারা। এই পাগলদের শরীর থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আতংকে আছেন এলাকার মানুষ। তারা দ্রুত এসব পাগলকে ভারতের ফিরিয়ে দেবার দাবী উপজেলাবাসী।


স্থানীয়দের অভিযোগ, ভারতীয় এসব পাগলের চেহারা এবং কথার সাথে বাংলাদেশী পাগলদের কোন মিল নেই। বেশির ভাগ এসব পাগলের জুট বাঁধা চুলসহ ব্যতিক্রমী ভাব দেখা যায়। প্রায় সময় পাগলেরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করায় বিব্রত কর অবস্থায় পড়েন পথচারীসহ সাধারণ মানুষ।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তদন্ত করে সত্যতা পেলে সরকারের নজরে আনা হবে এবং তাদেরকে ফেরৎ পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হবে।

Facebook Comments
Share
  •  
  •  
  •  
  •  
error: Encrypted Content!