কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের মানবিক সহায়তা সার্ভিস

বিভাস প্রতিবেদক:
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দিনে ও রাতে ‘মানবিক সহায়তা সার্ভিস’ নামে দুস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে লকডাউন শুরু হওয়ার পর গত ২৫ মার্চ থেকে প্রায় দু’মাসব্যাপী প্রতিদিন এই কার্যক্রম চলছে। হটলাইন নম্বর ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সুবিধাভোগী বাছাই করা হচ্ছে। খাদ্য সহায়তার মধ্যে চাল ছাড়াও বেশ কয়েকটি ভোগ্যপণ্য থাকছে। জেলা প্রশাসনের এই মানবিক সহায়তা সার্ভিস অনেক প্রশংসিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে মুলধারার ত্রাণ বিতরণের বাইরে বিভিন্ন মাধ্যমে অথবা ব্যক্তিগতভাবে তথ্য নিয়ে দিনে একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এর তত্ত্বাবধানে ৪ টি মোটরবাইক ও রাতে পিক-আপের মাধ্যমে এখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। সমগ্র জেলায় এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তবে অনেক পরিবার থেকে আবেদন আসলেও তার মধ্য থেকে বাছাই করে বিভিন্ন জনকে এই সহায়তা দেয়া হয়। উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা সদরে একজন ম্যাজিস্ট্রেট এই কার্যক্রম তদারকি করছেন। জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৭০০ পরিবারকে এই সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছে। প্রতিটি প্যাকেটে ১০ কেজি চালের সাথে ৫-৬টি ভোগ্যপণ্য যুক্ত করে প্যাকেট করা হয়েছে। এ সব ভোগ্যপণ্যের মধ্যে রয়েছে তেল, ডাল, চিনি, লবণ, বিস্কুট, সেমাই, আলু, মিষ্টি কুমড়া।
জেলা প্রশাসন সুত্র আরো জানায়. যারা অন্য কোন মাধ্যম থেকে ত্রাণ সহায়তা পাননি, অথবা দ্বিধা-সংকোচের কারণে ত্রাণ চাইতে পারেননা, তাদেরকে প্রাধান্য দিয়ে এই সহায়তা কার্যক্রম চালু রয়েছে। একইভাবে গত বুধবার দিনে ও রাতে সদর উপজেলার রবিদাস সম্প্রদায়ের বিভিন্ন গ্রামে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বেশ কিছু পরিবারের ঘরে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়।
কুড়িগ্রামের স্কাউট ব্যক্তিত্ব ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সামিউল হক নান্টু এই কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, ‘যারা ত্রাণ পাওয়া দরকার তাদের অনেকেই এখনও ত্রাণ পাননি। তাই বঞ্চিতদের খুঁজে বের করে সহায়তা দেয়ার এই উদ্যোগ অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ যেন অব্যাহত থাকে সেটাই প্রত্যাশা করি।’
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মো: রেজাউল করিম জানান, মূলত ৩৩৩ হটলাইন থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং ফোন ও ম্যাসেঞ্জারে তথ্য পাবার পর যাচাই বাছাই করে সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এতে অনেকেই উপকৃত হচ্ছে। এই কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।

Facebook Comments
Share
  •  
  •  
  •  
  •  
error: Encrypted Content!