কুড়িগ্রামে করোনা উপসর্গে ৩ মাসে ৮ জনের মৃত্যু

আব্দুল খালেক ফারুক:
কুড়িগ্রাম জেলায় করোনা ভাইরাস উপসর্গে আজ (১১ জুন) পর্যন্ত মোট ৮ জন মারা গেছে। সর্বশেষ বৃহষ্পতিবার চিলমারী উপজেলায় মারা গেছে একজন। উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ফকিরেরহাট এলাকার নাসির মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪২) সপ্তাহখানেক আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে জ্বর, সর্দি, পেট ব্যথা নিয়ে চিলমারীর বাড়িতে আসেন। এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করা হলে তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়। এ অবস্থায় রাতে শরীরের অবনতি হলে বৃহস্পতিবার সকালে মারা যায়।
জানা গেছে, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের উলিপুর অফিসে দায়িত্বরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. জুবাইদুল ইসলাম মারা ৮ এপ্রিল। ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের শাহিবাজার গ্রামের রিয়াজুল ইসলামের ৬বছরের মেয়ে নাফিজা জ্বর সর্দি নিয়ে ২৫ এপ্রিল রাতে মারা যায়। ২৬ এপ্রিল ভোরে নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের কুটিনাওডাঙ্গা গ্রামের মোবারক আলীর ৬মাসের ছেলে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যায়। গত ৪ এপ্রিল কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সদরে হরিমতি (৫৮) নামের এক নারীর জ্বর, হার্টের ব্যথা ও শ্বাসকষ্টে মারা যায়। গত ২৯ মে কুড়িগ্রাম আলিয়া কামিল মাদ্রাসার ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক রফিকুল ইসলাম রঞ্জু (৪৬) করোনা উপসর্গ নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এছাড়া করোনা উপসর্গে রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙ্গা ও উলিপুরের দূর্গাপুরে এক ব্যক্তি মারা যান। তাদের সবার ক্ষেত্রেই মৃত্যুর পর সবার নমুনা পরীক্ষা করা হলেও কারো পজিটিভ ফল আসেনি।
অপরদিকে কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল জলিল সরকার করোনায় মারা গেলেও তাঁর মৃত্যু বগুড়ায় হওয়ায় কুড়িগ্রামে মৃতের তালিকায় তাঁর নাম নেই।

Facebook Comments
Share
  •  
  •  
  •  
  •  
error: Encrypted Content!