কুড়িগ্রামে করোনায় প্রথম মৃত্যু পুলিশ কর্মকর্তার

আব্দুল খালেক ফারুক:
করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক (সশস্ত্র) আব্দুল জলিল সরদার (৫৫) এর করোনা শনাক্ত হয়েছে। বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে তিনি মারা গেছেন। কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মেনহাজুল আলম জানিয়েছেন, গত ৩১ তারিখে কুড়িগ্রামে দেয়া নমুনা এবং মৃত্যুর পর বগুড়ায় দেয়া নমুনার দুটিতেই পজেটিভ এসেছে। ফলে করোনায় কুড়িগ্রামে প্রথম মৃত্যু এই পুলিশ কর্মকর্তার বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল জলিল সরদার জ্বরে আক্রান্ত হলে গত ৩১ মে নমুনা সংগ্রহ করে তাকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। এরপর তিনি কিছুটা সুস্থ অনুভব করলে বগুড়ায় তার পরিবারের কাছে যেতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সোমবার পুলিশ বিভাগের অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে তার পরিবারের কাছে পাঠানো। মঙ্গলবার সকালে তিনি অসুস্থতা অনুভব করলে বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। দুপুর ২টার দিকে তিনি মারা যান। তাঁর হার্টের সমস্যা ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ছিলো বলে জানায় পুলিশের কর্মকর্তারা। মৃত্যুর পর হাসপাতালে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করলে বুধবার করোনা শনাক্ত হয় তাঁর।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নজরুল ইসলাম জানান, ‘করোনা উপসর্গ থাকায় গত ৩১ মে আব্দুল জলিল সরদারের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে তাঁর রিপোর্ট আসে। তাতে তাঁর করোনা শনাক্ত হয়।
কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মেনহাজুল আলম আরো জানিয়েছেন, বুধবার আব্দুল জলিলের দাফন নওগাঁয় তাঁর গ্রামের বাড়িতে সম্পন্ন হয়।
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি সংক্রমণ প্রতিরোধে জেলা পুলিশ ফ্রন্ট লাইনে থেকে নানা উদ্যোগ চলমান রাখলেও করোনা উপসর্গ নিয়ে কুড়িগ্রামে এই প্রথম কোনও পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হলো। এর আগে জেলার ফুলবাড়ী থানার ওসি এবং ডিএমপি থেকে কুড়িগ্রামে বদলি হয়ে আসা দুই নারী পুলিশ কনস্টেবল করোনা পজেটিভ শনাক্ত হন। তবে বর্তমানে তারা করোনা মুক্ত হয়ে সুস্থ রয়েছেন বলে পুলিশ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

Facebook Comments
Share
  •  
  •  
  •  
  •  
error: Encrypted Content!