চারুকলার শিক্ষক শিবলী রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায়

আব্দুল খালেক ফারুক:
চারুকলার শিক্ষক শেখ শিবলী আর্থিক সংকট কাটাতে নিজের বাড়িতেই স্ত্রীকে নিয়ে একটি রেষ্টুরেন্ট চালু করেন আড়াই মাস আগে। অর্ডার করলে রয়েছে হোম ডেলিভারির সুযোগও। তা সত্বেও জমছেনা ব্যবসা। সপ্তাহে একটি-দু’টি ছোট খাটো অডার পেলেও তাতে সংসারের চাকা সচল রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন কৃতি শিল্পী ও শিক্ষক শেখ শিবলী।


শেখ শিবলী ১৪ বছর ধরে কুড়িগ্রাম শিশু নিকেতনে চারুকলার শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন। পাশাপাশি তাঁর সরদার পাড়ার ছোট বাড়িতেই চালু করেছেন ‘শিল্পতরু’ নামের একটি আর্ট শেখার স্কুল। করোনার কারণে গত মাচ মাস থেকে বন্ধ হয়ে আছে সেই স্কুল। শিশু নিকেতনের দেয়া সামান্য বেতন-ভাতায় সংসারের খরচ মিটছিলো না। বিশেষ করে তাঁর বড় ছেলে শাওফুল প্রতিবন্ধী। ছোট ছেলে শাফিন অষ্টম শ্রেণিতে পড়লেও উচ্চমাত্রার ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। প্রতিদিন ইনসুলিন নিতে হয়। তার চিকিৎসা খরচ বাবদ মাসে প্রায় ১০ হাজার চলে যায়।
চরম আর্থিক সংকটে পড়ে স্ত্রী নাছরিন হাবীব নিয়ে বাসাতেই একটি রেষ্টরেন্ট চালু করেন। নাম দেন ‘এসো কিছু খাই’। গত ১০ জুন রেষ্টরেন্ট চালু করে স্ন্যাকস, বিরিয়ানি, খিচুরিসহ নানা আইটেম যুক্ত করেন। স্ত্রী নাছরিন হাবীবই রান্না করেন। আর হোম ডেলিভারীর দায়িত্ব পালন করেন শেখ শিবলী।
তার রেষ্টুরেণ্ট মুলত অর্ডার নিভর। এমনিতেই ছোট শহরে হোম ডেলিভারীর সুযোগ কম। তার উপর করোনার কারণে অর্ডারও কম। তাই মাসে ৪-৫ হাজার টাকার বেশী আয় হচ্ছেনা। এই টাকায় সংসার চলছেনা। তাই চরম সংকটে রয়েছেন শিবলী পরিবার।
শেখ শিবলী জানান, লকডাউনের সময় দুই একজন অভিভাবক কিছু খাদ্য সামগ্রী না দিলে অনাহারে থাকতে হতো। এখন আর কেউ খবর নেয়না। সরকারি নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে আবার স্কুল চালু করতে পারবেন, ঘুচবে আথিক দৈন্যতা-এই আশায় দিন কাটছে তাঁর।

Facebook Comments
Share
  •  
  •  
  •  
  •  
error: Encrypted Content!