কুড়িগ্রামে মাঝারি ধরণের শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে আরো ৩-৪ দিন

বিভাস প্রতিবেদক:
কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। বৃহষ্পতিবার সকাল ৯টায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড রা হয়েছে ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাহারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানিয়েছেন, আগাম ৩-৪ দিন এই অবস্থা অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে ঘন কূয়াশার সঙ্গে কনকনে হিমেল হাওয়ায় কাবু হয়ে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তি এলাকা ও চরাঞ্চলের মানুষ। শহরের বস্তিবাসী ও গ্রামের নি¤œআয়ের মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে শীতের দাপটে। গত ৩-৪ দিন ধরে সূর্যের লুকোচুরি খেলা থাকলেও তাপমাত্রার পারদ ক্রমাগত নি¤œমুখী হওয়ায় বেশি শীত অনুভুত হচ্ছে। অত্যধিক ঠান্ডার কারণে কৃষি কাজে যেতে পারছেনা কৃষি শ্রমিকরা। শ্রমজীবী অন্যান্যরাও পড়েছে বিপাকে। শিশু, নারী ও বয়স্করা প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন নানা রোগ ব্যাধিতে। চরাঞ্চলের অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ধরলা নদী তীরবর্তি সারডোব গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দ আলী, রোস্তম আলী জানান, ঠান্ডার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় কাজ কর্ম করা যাচ্ছেনা। বাড়তি দামে চাল কিনতে গিয়ে সন্তানদের শীতবস্ত্র কিনে দিতে পারছেনা। এই গ্রামের শিশু রবিউল, ফিরোজ ও আরাফাত জানান, ধরলা নদীর বাতাসে তারা কাবু হয়ে পড়েছেন। পুরাতন ছেঁড়া শীতবস্ত্র ছাড়া শীত মোকবেলার কোন উপায় নেই তাদের।
জেলা ত্রাণ ও পুণর্বাসন অফিস সুত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত জেলার ৯টি উপজেলা পৌরসভায় ৪০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া শীতবস্ত্র ক্রয়ের জন্য প্রতিটি উপজেলায় ৯ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

Facebook Comments
Share
  •  
  •  
  •  
  •  
error: Encrypted Content!