বিভাস প্রতিবেদক:
ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কুড়িগ্রামে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আবারো অবনতি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, দুপুরে ধরলার পানি বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। তিস্তার পানিও ছুঁই ছুঁই করছে বিপৎসীমা। ফলে জেলার ৯টি উপজেলার আড়াই শতাধিক চর ও নদী সংলগ্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী রয়েছে অন্তত ৬০ হাজার মানুষ।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক কৃষিবিদ মঞ্জুরুল হক জানান, সোমবার পর্যন্ত জেলায় ১৫ হাজার ৫২০ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। এরমধ্যে রোপা আমন ১৫ হাজার ১১৫ হেক্টর, শাকসবজি ২৭০ হেক্টর এবং বীজতলা ৯৫ হেক্টর।
উলিপুরের মশালের চরের মুসা মিয়া জানান, মশালের চর, জাহাজের আলগা, বতুয়াতুলিসহ আশে পাশের বেশ কয়েকটি চরের ৪০—৫০ ভাগ মানুষের বাড়িতে পানি উঠেছে। তবে আশেপাশের উঁচু ভিটায় সবাই আশ্রয় নিয়ে আছে।
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিএম আবুল হোসেন জানান, পানিবৃদ্ধির ফলে নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। এতে এই ইউনিয়নের প্রায় ৪ শতাধিক বাড়িতে পানি উঠেছে। নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ায় গো—খাদ্যের সংকট তৈরী হয়েছে। লোকজন পানিতে ডুবে বিভিন্ন জায়গা থেকে গো—খাদ্য সংগ্রহ করছে। এছাড়াও বসতবাড়ীতে পানি প্রবেশ করায় স্বাভাবিক চলাচলে অসুবিধা সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে তিস্তা, ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার ও গঙ্গাধরের অন্তত ৪৫টি পয়েন্টে নদী ভাঙনের তীব্রতা বাড়ায় গত দুদিনে গৃহহীন হয়েছে আরো ২ শতাধিক পরিবার। এখ নপর্যন্ত ত্রাণ সহায়তা পায়নি কোন ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ। তবে জেলা ত্রাণ ও পুণবার্সন অফিস সুত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত ১২ লাখ টাকা ও ২৮০ মে.টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। যা বিলি—বন্টনের পর্যায়ে রয়েছে।
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি পানিবন্দী ৬০ হাজার মানুষ
Facebook Comments
Share